গত ফেব্রুয়ারিতে বয়স ছুঁয়েছে ৪০। তবু মাঠে নামলেই ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে দেখে মনে হয়, এখনো যেন ২৫ বছরের টগবগে স্ট্রাইকার! পায়ের জোরে ছুটে চলেন এমন গতিতে যে ২০-২২ বছরের তরুণরাও পিছিয়ে পড়ে। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কা মজার ছলে লিখেছে, ‘রোনালদোর বয়সও নাকি সূক্ষ্ম ওয়াইনের মতো- যত পুরোনো, ততই উজ্জ্বল!’
প্রশ্ন জাগে, ৪০ বছর বয়সেও এ রকম টানটান তারুণ্য কীভাবে সম্ভব? জীবনভর অনুশাসন, কঠোর পরিশ্রম আর নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসের গল্প সবাই জানে। কিন্তু এর বাইরে কি আছে কোনো গোপন রহস্য?
সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছেন নিউইয়র্কের খ্যাতনামা প্লাস্টিক সার্জন ড. এলি লেভিন। ডেইলি মেইল এর সাংবাদিক ইসাবেল বাল্ডউইনের সঙ্গে আলাপে লেভিন সরাসরি জানিয়ে দেন তিনি রোনালদোর চিকিৎসক নন, কিন্তু পর্যবেক্ষণে মনে হয়েছে, সিআর সেভেন শুধু শৃঙ্খলাতেই নয়, অস্ত্রোপচারের ছোঁয়াতেও তারুণ্য ধরে রেখেছেন।
লেভিনের ধারণা, রোনালদো নাকের আকার ঠিক করতে ‘রাইনোপ্লাস্টি’ (নাকের হাড় ভেঙে নতুন আকার দেওয়ার সার্জারি) করিয়েছেন।
এছাড়া তার পেশাদার জীবনের শুরুর দিকেই দাঁতের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য অর্থোডন্টিক্স করিয়েছিলেন রোনালদো, আর দাঁত সাদা ও সোজা রাখার জন্য ব্যবহার করেছেন ভেনিয়ারও। লেভিনের মতে, শুধু তাই নয় উপরের মাড়ির আকার কমাতেও অস্ত্রোপচার করিয়ে থাকতে পারেন এই পর্তুগিজ সুপারস্টার।
সবমিলিয়ে লেভিনের দাবি, রোনালদোর তারুণ্যদীপ্ত চেহারা তার কঠোর অধ্যাবসায়, শৃঙ্খলার মধ্যে থাকা, নিয়ম মেনে চলা এবং নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসের মাঝেই নিহিত নয়। বরং অস্ত্রোপচারের মাধ্যমেও নিজেকে আকর্ষণীয় করে রেখেছেন তিনি।
খুলনা গেজেট/এসএস